“চোদে না মাঙে, মাল পড়ে ঠ্যাঙে।”

টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিতে যখন মেকানিকাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে মাস্টার্স করছিলাম, আমার কাছের এক ছোটভাই খানিক মদ পেটে পড়লেই এই কথাটা বলতো।

একটা দিন এলো, যখন আমরা চার-পাঁচজন বিভিন্ন জিনিস নিয়ে আড্ডা দিচ্ছি। তরলের প্রভাবে আমাদের দৃষ্টিসীমা বেশিদূর যাচ্ছে না। সিগারেট খেতে খেতে আমাদের ফুসফুস চালুনি হয়ে গেছে। বিশ্বরাজনীতি নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিচ্ছি। এর মধ্যে সাদা মার্লবোরোতে আগুন ধরাতে গিয়ে বুঝলাম সিগারেট উলটো ধরেছিলাম। ফিল্টারে আগুন ধরে গেল।

“ধ্যার বাল।” বললাম।
ছোটভাই বললো, “ভাই, বাদ দেন তো ভাই। চোদে না মাঙে, মাল পড়ে ঠ্যাঙে। এই নেন, আরেকটা ধরান।”

একদিন তার সাথে ফ্রেড্রিকসবার্গ যাচ্ছি। আমাদের থেকে ৭০ মাইল দূরের এক জর্মন শহর। দেড় ঘণ্টা লাগবে ড্রাইভ করে পৌঁছাতে। ছোটভাই ভালোই ড্রাংক। তায় আবার বৃষ্টি পড়ছে প্রবল। কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না।

ভয়ে ভয়ে স্পিডোমিটারের দিকে তাকাচ্ছি। গতি তো একশ ছুঁই ছুঁই। অন্যপাশ থেকে একটা গাড়ি প্রবলবেগে ছুটে আসছিল, আর তখনই ওর গাড়ির চাকা স্লিপ করে ইয়োলো লাইনে উঠে যায়। এই ইয়োলো লাইন মানে এর অপর পাশে আসবে এদিকমুখী গাড়ি, এপারে যাবে ওদিকমুখী।

সংঘর্ষ হলে বাংলাদেশ তার এক মেধাবী কম্পিউটার সায়েন্সের পিএইচডির ছাত্র এবং একজন তরুণ লেখক সেদিন হারিয়ে ফেলতো। ছোটভাই শেষ মুহূর্তে স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে গাড়ি আবার ইয়োলো লাইনের এপারে ফেরত আনতে পারলো। কানের পাশ দিয়ে গুলি গেল আমাদের।

ছোটভাই ভেইপে একটা কষে টান দিতে দিতে বললো, “চোদে না মাঙে, মাল পড়ে ঠ্যাঙে।”

এমন এক রাতে আধ্যাত্মিক আলাপ হচ্ছে। ও আমাকে প্রশ্ন করলো, “ভাই, আপনি বলেন তো আমাকে, ‘চোদে না মাঙে, মাল পড়ে ঠ্যাঙে’ কেন বলা হয়? এর অর্থ কী?”

আমি আসলে জানি না এটা আর কোথায় বলা হয়। এই ছেলে বাদে আর কাউকে বলতে শুনিনি। কিন্তু মাতালের আবার লজিক। ভেবেচিন্তে বললাম, “এ বোধহয় কোন এক ব্রথেলের কাহিনী হবে। কেউ একজন গেছে মাগী লাগাতে। কিন্তু মাগী ওকে লাগাতে দিচ্ছে না। রেপিস্ট শালা তাও গুতাগুতি করে যাচ্ছে। এর মাঝেই তার মাল বেরিয়ে গেল। পড়লো ঠ্যাঙে। ঠিক কি না?”

ছোটভাই খুশি হয়ে বললো, “ঠিক ধরেছেন ভাই। একেবারে সঠিক ধরেছেন।”

এরপর এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। বহুদিন টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের দিকে যাই না। তারপর এলো জুলাই-আগস্টের কালো অধ্যায়। বাংলাদেশি মাত্রই একত্রিত হলাম। আগস্টের পাঁচ তারিখ গণভবনের মার্চের দিকে আমাদের সবার চোখ। সারারাত ধরে মানুষ তাদের শার্টের পকেটে লিখে রাখা ঠিকানা আর নাম পোস্ট করলো। গুলি খেয়ে মরে গেলে যেন পরিবারের কাছে লাশটা দেয়া যায়, তাই। মরবে জানে, তাও রাস্তায় নামছে। মার্চে যাচ্ছে। অভূতপূর্ব ঘটনা।

ওয়াকার ভাষণ দেবেন বলে প্রচারণা শুরু হলো। আমরা জানলাম হাসিনা পালিয়েছে। কিন্তু অফিশিয়াল খবরটা দরকার। ওয়াকারের ভাষণের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি।

বহু ধানাই-পানাইয়ের পর এলেন তিনি।
তারপর মাইকে গেলেন।

রাজনৈতিক দলদের সাথে কথা হচ্ছে বলার পর এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, কোন সেসব রাজনৈতিক দল?
জেনারেল ওয়াকার উত্তরটা দিলেন, “জামাত-”

আমার মুখ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে গেল, “চোদে না মাঙে, মাল পড়ে ঠ্যাঙে।”২.
অভ্যূত্থান আমরা সবাই ঔন করি। যে গুলি খেয়েছে থেকে শুরু করে যে পুলিশ কোন দিক দিয়ে কোনদিকে যাচ্ছে সে খবরটা কেবল সহযোদ্ধাদের পৌঁছে দিয়েছে, সবাই মনে করতে পেরেছে তারা কিছু অবদান রেখেছে। এটা তারও আন্দোলন। বাংলাদেশের প্রায় সবাই নিজ নিজ জায়ঘা থেকে কিছু না কিছু করেছে, সে জন্যই ছাত্রলীগ যার যার অবস্থান থেকে পালিয়েছে।

জুলাই-আগস্টে দীঘিরে দেয়া আমার যতখানি শিশির, ততখানি আমার জীবনের এক অন্যতম ভালো কাজ। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীও যেমন অস্বীকার করতে পারেন না এবং বলেন, “জীবনে দুটো ভালো কাজ করেছি। এর একটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া।”

‘স্বৈরাচার সরাতে জনতা পথে নেমেছে এবং গুলি খেয়েছে’ ধাঁচের একটা মিথ্যে কথা প্রচারিত হচ্ছে এখন অনেক জায়গায়। এর মতো ডাহা মিথ্যাচার আর নেই। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র কী জানে না, অর্থাৎ স্বৈরাচার কী তাও তারা জানে না। ফ্যাসিবাদ বলে একটা কথা এরা প্রায় বলে, লজ্জার ব্যাপার হচ্ছে এখন একাডেমিশিয়ানরাও ‘ফ্যাসিবাদ’ শব্দটাকে ব্যবহার করা শুরু করেছে।

শেখ হাসিনার সরকার ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল না। ছিল স্বৈরাচারী সরকার। নুরুল হক নুরু বলুক আর নাহিদ-আসিফ-সার্জিস-হাসনাত বলুক, শেখ হাসিনার সরকার কোনদিনও ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল না। ফ্যাসিজম আলাদা জিনিস। স্বৈরাচার ভিন্ন জিনিস।

একাডেমিশিয়ানরা বোধহয় সাধারণ মানুষকে বোঝাতে স্বৈরাচারকেই ফ্যাসিজম বলে থাকেন।

জনতা স্বৈরাচার সরাতে পথে নামেনি। স্বৈরাচার কী জিনিস তা জনগণ নিজেই জানে না। জানলে বুঝতে পারতো তারা নিজেরাও স্বৈরাচারী। ফ্যাসিবাদী সরাতেও তারা পথে নামেনি। বাংলাদেশে একমাত্র ফ্যাসিস্ট মনন হচ্ছে মুসলমানদের। ফ্যাসিস্ট আইডিয়ার মধ্যে ইসলাম একমাত্র ফ্যাসিজম যা বাংলাদেশে প্রচলিত আছে।

ফ্যাসিস্ট আইডিয়া বলে আমরা যা বোঝাই তার মধ্যে থাকতেই হবে-
১। প্রবল জাতিবোধ – ইসলাম বলে সে আগে মুসলমান পরে বাঙালি। আওয়ামীলীগ হওয়ার ক্ষেত্রে ২০১৪ পরবর্তী সময় বাঙালি হওয়ার চাপ ছিল, তবে প্রবল জাতিবোধ পর্যায়ে যায়নি। বাংলা বাদে অন্য ভাষা নিয়ে চর্চায় ন্যুনতম বাঁধা আসেনি। আদিবাসীদের ভাষা তো বটেই, বাঙালি জাতির জন্মশত্রু যে আরব কালচার, সেই আরব কালচারের এবং ভাষার চাষাবাদ মাদ্রাসাগুলোয় হয়েছে তো বটেই, বাম্পার ফলনও হয়েছে শেখ হাসিনার সময়ে। প্রবল জাতিবোধ কেবল ইসলামে দেখা যায়, ক’দিন আগেও দেখলেন তারা বলছে ভার্সিটিতে পড়াশোনা করা যাবে না। মেয়েরা যেন ইচ্ছে করে অ্যাডমিশন টেস্টে ফেল করে। এটা হচ্ছে বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করার বিরুদ্ধে ইসলামের আগ্রাসন। বাংলাভাষার লোক ‘আপনার সন্তানকে মাদ্রাসায় দিয়েন না’ প্রচারণা করেনি, আওয়ামীলীগও করেনি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট মুসলমানরা বাসের পেছনে, সিএনজির পেছনে লিখে রেখেছে, “আপনার সন্তানকে মাদ্রাসায় দিন”।

২। মানুষের পাবলিক আর প্রাইভেট লাইফে নাক গলানো –
আওয়ামীলীগের আমলে আপনি শার্ট, প্যান্ট, হাফপ্যান্ট, স্লিভলেস, জোব্বা-বোরকা পরার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন এই নজির নেই। আওয়ামীলীগের আদর্শিক শত্রু যারা তারা জোব্বা-বোরকার ধারক ও বাহক, সন্দেহ করে কাউকে ধরে যখন ঠেঙিয়েছে এর একটা আদর্শিক গ্রাউন্ড আছে (নিন্দনীয় কাজ, তবে আদর্শিক গ্রাউন্ড আছে)। মোল্লারা প্রচার করেন, “আওয়ামী আমলে স্রেফ জোব্বা পড়লে ধরে নিয়ে যেত” কথাটা একটা ডাহা মিথ্যে। এখন আওয়ামীলীগ না থাকায় এর মুহুর্মুহু প্রচার করা হচ্ছে। একটা মিথ্যে একশ’ বার বলা হলেই যে সত্য হয়ে যাবে এমন নয়। এটাও হবে না।
তবে মানুষের পাবলিক আর প্রাইভেট জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ইসলামী আইন। মেয়েরা স্লিভলেস পরলেই গ্রেফতার হবেন সে রাষ্ট্রে। ছেলেরা হাফপ্যান্ট পরলেই গ্রেফতার হবে। এরা গ্রেফতার হবেন “স্লিভলেস পরেছিল। হাফপ্যান্ট পরেছিল।” কারণে। আদর্শিক কারণে না।
দুটোর তফাত আকাশ আর পাতাল। ইসলাম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা, আওয়ামীলীগ নয়।

৩। কাল্ট –
একটা কাল্ট মাইন্ডসেট ইসলাম আর আওয়ামীলীগের জন্য কমন। ইসলাম কাল্ট চালায়, একটা অবিসংবাদী নেতা তাদের লাগে। মুখে বলে মুহাম্মদ তার নেতা। আদতে মাটিতে আরেক মুহাম্মদ থাকেন। ইরানে যেমন খোমেনি। যিনি আমির, তিনিই মুহাম্মদের সমান ক্ষমতা ধারণ করেন। শেখ হাসিনার যতখানি ক্ষমতা দলের ভেতর, ইসলামী কোন গ্রুপের আমিরের ক্ষমতা তার থেকে কয়েকগুণ বেশি। তবে এই ক্ষেত্রে তেমন কিছু বলার নেই। আওয়ামীলীগ আর ইসলাম দুটোই কাল্ট গড়ে তোলার বিষয়ে ভাই-ভাই।

৪। প্রতিপক্ষের মুখ বন্ধ করা –
ইসলাম এখানে অগ্রগণ্য। ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোন টু শব্দ করা মাত্র আপনাকে খেয়ে দেবে। আওয়ামীলীগ আপনাকে খেয়ে দিবে শুধু আপনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলে। ইসলামের খাওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষও হবে না। “স্লিভলেস ব্লাউজের সাথে শাড়ি পড়বো। এতে সমস্যা কোথায়?” ধরনের অরাজনৈতিক আলাপের জন্যও আপনাকে গ্রেফতার করা ইসলামিক স্টেটে জায়েজ। স্বৈরাচার আর ফ্যাসিস্টের মধ্যে এই একটা তফাত।

তাহলে ইসলাম কি ফ্যাসিস্ট? পুরোপুরি নয়। ফ্যাসিজম থেকে ইসলামের অনেক তফাতও আছে।
তবে তুলনামূলক আলোচনায় বাংলাদেশ সবচেয়ে closest to Fascism আইডিয়োলজি আর ধ্যান-ধারণা দেখেছে ইসলামের মধ্যে।

ফ্যাসিজম যদি বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পারতো, তাহলে তো সবাই ইসলাম ত্যাগ করে অমুসলিম হয়ে যেত। তা কি হচ্ছে? না। বরং প্রতিদিন একটা হলেও পোস্ট আসে যেখানে ইসলামের পক্ষে আলোচনা দেখি। খোদ আমেরিকায় বসে আমার চেনা মুসলমান বলেন, “প্রকৃত মুসলমান হতে হলে আসলে বাংলাদেশ থেকে বেরুতে হবে।”

অর্থাৎ তার ধারণা হয়েছে ইসলাম সে খুব বুঝেছে এবং মুসলমান ভালো মানুষ হতে পারে।
সে একজন ভালো মানুষ, তাকে যতদূর চিনি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে সে আদতে হত্যাযোগ্য। ইসলাম ওকে মুসলমানই মনে করবে না নানা গ্রাউন্ডে। এ বিষয়ে তার ধারণা নেই। সে পড়ে গেছে মডার্ন আলেমদের খপ্পড়ে। এরা আপনাকে এমন এক ইসলামের চেহারা দেখাবে।

আগের আলোচনায় ফিরে যাই।
বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রই বোঝে না, গণতন্ত্রের জন্য ফাইট কোত্থেকে করবে? নব্বইয়ের আন্দোলন গণতন্ত্রের জন্য হয়নি তো। চব্বিশের আন্দোলনও গণতন্ত্রের জন্য হয়নি।

বাংলাদেশের মানুষ মনে করে গণতন্ত্র মানে ৯০% মানুষ যা চাবে তাই দেশের আইন হবে। আদতে গণতন্ত্র তা নয়। বরং গণতন্ত্রে মেজরিটি প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। অর্থাৎ সংসদ সদস্য। সেই সাংসদ যান পার্লামেন্টে। এই সাংসব বাঁধা থাকেন গণতন্ত্রের ফ্রেমওয়ার্কে। যে ফ্রেমওয়ার্ক বলে ৯৯ জন মানুষ কিছু যদি চায়, কিন্তু তা অবশিষ্ট একজন মানুষের ক্ষতি করবে, সেই আইন পাশ করা যাবে না। গণতন্ত্র মানে যে ৯০% লোক মুসলমান বলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হয়ে যাবে এমন নয় এই কথাটিই দেশের লোকজন বুঝতে পারলো না।

এই লোকজন রাস্তায় নেমেছে গণতন্ত্রের জন্য?
না।

তবে কি এরা ইসলাম বুলন্দ করতে নেমেছিল?
তাও নয়।

এরা নেমেছিল কারণ আবু সাঈদের গুলি খাওয়ার দৃশ্য তাদের বুকের ভেতরে বেজেছিল। তারা একটি হত্যার প্রতিবাদে নেমেছিল। গুলিগুলো আবু সাঈদের নয়, তাদের বুকেই যেন বিঁধেছে।

তারা নেমেছিল কেবল একটা হত্যার প্রতিবাদ করতে।
শুদ্ধ আবেগ, বিশুদ্ধ কারণ এবং শতভাগ সঠিক কারণেই নেমেছে তারা। তবে—
গণতন্ত্রের জন্য না, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে না, ইসলামের জন্যও না।
এই রিয়েলিটি আমাদের মেনে নিতে হবে।

৩.
তাহলে আন্দোলনটায় গণতন্ত্রের জন্য নেমেছিল কারা?

শিক্ষিত সমাজ।
শিক্ষিত সমাজ জানে এই ঘটনার বার বার পুনরাবৃত্তি হবে। গণতন্ত্র বর্তমান বিশ্বের একমাত্র ব্যবস্থা যা এধরনের খুন ও অনাচার থামাতে পারে। আর যদি নাও পারে, লাথি মেরে দানবকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেয়া যায়।

ইসলাম বা কমিউনিস্ট প্রথার সমস্যা হলো, খুন ও অনাচার করবে রাষ্ট্র। কিন্তু আপনি তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামতেও পারবেন না। লাথি মেরে সরকার ফেলতেও পারবেন না। পা তুললেই দোহাই দেয়া হবে আপনি লাথি তো শাসকের মুখে নয়, মারছেন রওজা মোবারকে, মারছেন আরশ বরাবর, মারছেন কুরআনের ওপর।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আপনার গলায় যতখানি জোর আছে, কুরআনের বিরুদ্ধে আর কি ততখানি জোর থাকবে?

জামাত-শিবির, হিজবুত তাহিরীসহ যেসব ফ্যাসিস্টমনস্ক (ফ্যাসিস্ট নয় এখনো, ক্ষমতায় যেতে পারেনি বলে) রাস্তায় নেমেছিল এক স্বৈরাচারকে তাড়াতে, নিজেদের ফ্যাসিজম কায়েমের স্বার্থে-

এরা এই আন্দোলনের স্টেকহোল্ডার নয়।
বর্তমান সরকার নির্বাচন দেয়ার জন্য এসেছে, অর্থাৎ তারা যখন স্টেকের আলোচনা করছে তা করছে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে। প্রাণের ঝুঁকি ইসলামিস্টরা গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য নেয়নি। গণতন্ত্র বিষয়ক কোন স্টেক তাদের থাকতে পারে না।

দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান এমন একটি দলের প্রধানকে শুরু থেকে লাইমলাইট দিয়ে জাতির কাছে একটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করছেন। বর্তমান সকল ঝামেলা হচ্ছে কারণ জেনারেল ওয়াকার ৫ই আগস্ট জামাতকে আলোচনায় ডেকেছেন, ক্যামেরায় এসে জামাত শব্দটা সবার আগে বলেছেন। সে আমেরিকার প্রভাবেই বলুন কিংবা মেটিকুলাস ডিজাইনের কারণে — তৌহিদি জনতাকে তিনি গোটা দেশটাই তুলে দিয়েছেন তখন।

রচনা : কিশোর পাশা ইমন, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
#

No responses yet

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Page Views
3717

JOIN US!

Join Us!